সাকলাইন যোবায়েরঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখনই কুমিল্লা আসতেন বা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতেন তখনি তিনি তাঁর সাথে থাকা সফর সংগীদেরকে বলতেন,” আফজলকে ফোন দাও আফলের বাসায় যাব। সেখানে তিনি রং চা খাস্তা বিস্কুট এর পর অন্যান্য খাবার গ্রহণ করার পর তিনি তার নির্ধারিত কর্মসূচী পালন করতেন।”
বঙ্গবন্ধুর সাথে আফজল খানের সাদা কালো ছবিটি অনেক স্মৃতি বহন করে। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতির পিতার হাতে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামীলীগকে বুকে লালন করেছেন। তিনি ১৪ দলের সমন্বয়ক, জেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক, হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পদের জন্য কখনো লালায়িত ছিলেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক দুঃসময়ে বেশ কয়েক বার বীর মুক্তিযোদ্ধা বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এডভোকেট আফজল খানের বাসায় অবস্থান করেছেন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় কুমিল্লা জনাকীর্ণ মানুষের উপস্থিতিতে টাউন হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আফজল খানের এডভোকেট স্মরনে নাগরিক শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নাগরিক শোক সমাবেশে ভার্চুয়ালভাবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় আর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু। অধ্যক্ষ আফজল খান এর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক রেলমন্ত্রী চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত এমপি মোঃ মুজিবুল হক মুজিব,কুমিল্লা বুড়িচং -ব্রাক্ষনপাড়া আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট হাসেম খান
এমপি,ব্রাক্ষনবাড়িয়া সদর আসনের সাংসদ সদস্য র আ ম মোকতাদির চৌধুরী,ফেনী জেলার সংসদ সদস্য ও জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার,করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আফজল খান এডভোকেট এর কন্যা মহানগর আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি নারী আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা এমপি,সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ওমর ফারুক,জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বুড়িচং এর সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি,
কবিরুল ইসলাম শিকদার,সোনার বাংলা কলোজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যাপক শান্তি রঞ্জন ভৌমিক,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক জিএস ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নূর উর রহমান তানিম,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহীনুল ইসলাম শাহীন,সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি ও তরিকত ফেডারেশনের পক্ষে আলহাজ্ব শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খান,প্রথম আলো কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার গাজিউল হক সোহাগ,চ্যানেল আইয়ের কুমিল্লা স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয়, আফজল খান পুত্র ইমরান খান,ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক জিএস শফিকুল ইসলাম শিকদার, বিএমএর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ রেজা আবদুল্লাহ, বিএমএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান জসিম,জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি নির্মল পাল,
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক পরেশকর,কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মোতাহের হোসেন,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কবি প ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল,বিএমএর ডাঃহেদায়েত উল্লাহ,ন্যাপ চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ,সাবেক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান,এডভোকেট মাসুদ সালাউদ্দিন, মহিউদ্দিন ফারুকী, জাকির হোসেন,অভিজিত রায় চৌধুরী পার্থ,তরিকুল ইসলাম তরিক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম এ মান্নান চৌধুরী, এডভোকেট শহিদুল হক স্বপন।
আমির হোসেন আমু বলেন, রাজনীতিতে অধ্যক্ষ আফজল খান রাজনীতিতে একটি নাম। জাডির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ সৈনিক। রাজনীতিতে চক্রান্ত করে হারানো যায় কিন্তু সম্মান ছিনিয়ে যায় না। আপনারা জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধ্যক্ষ আফজল খানকে অধিক পরিমাণে ভালবাসতেন।
তিনি আরও বলেন আফজল খান কুমিল্লার মানুষকে কি পরিমান ভালবাসতেন তা আজকের এ জনাকীর্ণ নাগরিক শোকসভা আপনাদের উপস্থিতি দেখে বুঝা যায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আফজল খানের স্মৃতিচারণ করে শেষ করা যাবে না।এমপি হাসেম খান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আফজল খান ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর লোক,তিনি ছিলেন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে অত্যাধিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসতেন। তিনি রাস্তা দিয়ে কোন ভিক্ষুক বা অসহায় মানুষকে বুকে জড়িয়ে নিতেন।
তিনি আরও বলেন আজকের এ শীতে খোলা মাঠে এত লোকের স্মরন সভা আমি কুমিল্লায় কোনদিন দেখিনি। রাজনৈতিক সভায় মানুষের সমাগম হয় কিন্তু নাগরিক শোক সভা ও এত লোকের সমাগম প্রমান করে তিনি কেমন ছিলেন। সবেক রেলপথ মন্ত্রী চৌদ্দগ্রামের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিব এমপি বলেন,আফজল খান কেমন লোক ছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।আমি আফজল ভাইয়ের নেতৃত্বে রাজনীতি করেছি। তিনি তার কর্ম দিয়ে মানুষের ভালবাসা পোয়েছেন তা এতবড় স্মরণসভা দেখলে বুঝা যায়।
আমাকে যখন কেউ জিগ্যেস করতো আপনার বাড়ি কোথায় আমি যখন বলতাম আমার বাড়ি কুমিল্লায় তখন তা শুনে প্রশ্ন করতেন। ওহ আফজল খানের কুমিল্লায় আপনার বাড়ি। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় আর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল ( লোটাস কামাল) এমপি বলেন, আফজল খান ছিলেন জাতির পিতার একজন সৈনিক। কুমিল্লার রাজনীতিতে অধ্যক্ষ আফজল খান ছিলেন সিংহ পুরষ তিনি ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ। তাই তিনি বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন।
কুমিলার মানুষের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যষ আফজল খান সাহেব ছিলেন একজন রোল মডেল। তিনি মানুষকে নিজের সাধ্যমত সাহায্য করতেন।আফজল খান মানুষের হৃদয়ে বেচে থাকবেন। আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি,বলেন আমি দুঃখ প্রকাশ করছি আমি স্বশরীরে হাজির হতে পারিনি। তবে আমি কথা দিচ্ছি ভবিষ্যতে আফজল খানকে নিয়ে কোন স্মরণসভা হলে আমি হাজির